Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

উপজেলার তালিকা

                                                    শালিখা উপজেলা
 

অবস্থানঃ

মাগুরা জেলা শহর থেকে শালিখা উপজেলা ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে মাগুরা-যশোর হাইওয়েতে অবস্থিত। শালিখা উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় আড়পাড়া থেকে। এখানে সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও থানা রয়েছে। শালিখা উপজেলার উত্তর-পশ্চিমে  কালিগঞ্জ উপজেলা উত্তরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা এবং উত্তর ও পূর্বে- মাগুরা জেলার মাগুরা সদর উপজেলা,  পশ্চিম ও দক্ষিণে - রয়েছে যশোর জেলাবাঘারপাড়া উপজেলা , দক্ষিণ-পূর্বে- মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলা এবং নড়াইল জেলার, নড়াইল সদর উপজেলা ও লোহাগড়া উপজেলা অবস্থিত।

নামকরণের ইতিহাসঃ

‘শালিখা’ নাম নিয়ে রয়েছে বেশ কিছু লোকপ্রচলিত মতামত। জনশ্রুতি রয়েছে এক সময় এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে ‘শালি ধান’ জন্মাতো। ‘শালি ধান’ এখন লোককথায় প্রচলিত। সুলতান শেরশাহের আমলে এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ‘শেরশাহ সড়ক’ নির্মাণকালে শ্রমিকরা “শালি” ধানের চিড়া খেয়ে পরিতৃপ্ত হয়ে শালী ধানের সর্বজনীনতা প্রকাশের কালে তারা এলাকার নাম দেন ‘শালিখা’। অনেকে মনে করেন, ‘শালিক’ পাখি থেকে শালিখা নামকরণ হতে পারে। আবার অনেকে মনে করেন এ অঞ্চলের জলাশয়ে জলজ উদ্ভিদ শালুক-এর প্রাচুর্য থেকে শালিখা নাম এসেছে। তবে ঐতিহাসিকদের বর্ণনা ও এ অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাস বিবেচনায় শালিখা নামকরণের তাৎপর্যপূর্ণ দুটি দিক বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়। একটি হৈমন্তিক ফসল ‘শালি’ ধানের ঐতিহ্য এবং অপরটি ‘শালুক’ নামক জলজ উদ্ভিদ।

মহম্মদপুর উপজেলা

অবস্থানঃ

মাগুরা জেলা সদর হতে ২৬ কিলমিটার পূর্ব-দক্ষিণে মহম্মদপুর উপজেলার অবস্থান। ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে এ উপজেলা গঠিত। এ উপজেলার আয়তন ২৩৪.২৯ বর্গ কিলোমিটার। উপজেলার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেরা, পূর্ব-দক্ষিণে বোয়ালমারী উপজেলা  ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা, দক্ষিণে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলা, পশ্চিম ও দক্ষিণে শালিখা উপজেলা এবং মাগুরা সদর সদর উপজেলা।  

 

নামকরণের ইতিহাসঃ

মহম্মদপুর উপজেলার নাম করণের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পাওয়া যায়নি। মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে রাজা সীতারাম রায় (জন্ম ১৬৫৮ খ্রি.) এই অঞ্চলের জমিদার ছিলেন। তিনি সম্রাটকে কর দেওয়া বন্ধ করে নিজেকে স্বাধীন রাজা বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় মুসলিম ফকির মাহমুদের নামানুসারে তার রাজধানীর পুরাতন নাম বাগজান এর পরিবর্তে মহম্মদপুর নামকরণ করেন।

 

শ্রীপুর উপজেলা 

অবস্থানঃ

শ্রীপুর উপজেলা বাংলাদেশের মাগুরা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। মাগুরা জেলা সদর হতে ১৪ কি.মি. উত্তরে শ্রীপুর উপজেলার অবস্থান। ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে এ উপজেলা গঠিত। এই উপজেলাটির আয়তন  ১৭৯.১৮ বর্গ কিলোমিটার। শ্রীপুর উপজেলার  উত্তরে রাজবাড়ৰী জেলা ও বালিয়াকান্দি উপজেলা; দক্ষিণে মাগুরা সদর উপজেলা; পূর্বে মধুখালী উপজেলা ও বালিয়াকান্দি উপজেলা এবং পশ্চিমে শৈলকূপা উপজেলা

নামকরণের ইতিহাসঃ 

১৮৫৯ সালে সালের আয়তন জরীপ অনুযায়ী শ্রীপুর উপজেলা মাগুরা জেলার মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ উপজেলা। নির্দিষ্টভাবে এই উপজেলার নামকরণ সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে জনশ্রুতি আছে যে, নবম শতাব্দিতে পাল রাজার শাসন আমলে এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ নগর ছিল। এককালে শ্রীপুর অঞ্চলে বিরাট রাজা নামে এক রাজার শাসন ছিল। তার প্রকৃত নাম ছিল রাজা রাম চন্দ্র। রাজার স্ত্রীর নাম ছিল শ্রীদেবী। শ্রীদেবীর নাম অনুসারে এই উপজেলার নামকরণ  হয় শ্রীপুর।

 

 

 

 

মাগুরা সদর উপজেলা 

অবস্থানঃ

মাগুরা সদর উপজেলা বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের মাগুরা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। ৪৫০.৫ বর্গ কিলোমিটার ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট মাগুরা সদর উপজেলা উত্তরে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলা এবং শৈলকূপা উপজেলা, দক্ষিণে শালিখা উপজেলা, পূর্বে মোহাম্মদপুর উপজেলা এবং পশ্চিমে ঝিনাইদহ জেলা দ্বারা বেষ্টিত।

 

নির্বাচনী এলাকা ৯১ মাগুরা-১ ( জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা) ইউনিয়নের সংখ্যা ১৩ এবং পৌরসভা ১ টি। মাগুরা থানাকে ১৯৮৩ সালে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। ১৮৪৫ সালে এটা থানা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১টি পৌরসভা, ১৮টি ওয়ার্ড, ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ, ২৬৩টি মৌজা এবং ২৫২টি গ্রাম নিয়ে মাগুরা সদর উপজেলা গঠিত।