Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

জেলা প্রশাসনের পটভূমি

ভারতবর্ষে বাংলা প্রদেশে পরীক্ষামূলকভাবে ১৭৮১ সালে প্রথম জেলা হিসেবে যশোরকে ঘোষণা করা হয়। মাগুরা অঞ্চল তখন যশোর জেলার অন্তর্গত ছিল। ১৮৪৫ সালে মাগুরা প্রথম যশোর জেলার অধীনে মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়। মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হলেও মাগুরা সদরে থানা স্থাপিত হয় আরও অনেক পরে, ১৮৭৫ সালে। অবশ্য এর আগে শালিখা থানা স্থাপিত হয়।  ১৭৮১ সালের পর থেকে  ১৮৪৫ সাল পর্যন্ত এলাকা মাগুরা অঞ্চল নামে পরিচিতি ছিল।

মাগুরা মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মিঃ কর্কবার্ণ  ছিলেন প্রথম মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট। কিঃ কর্কবার্ণ সর্বপ্রথম মাগুরা মহকুমা ভবন তৈরী করেন। মাগুরা মহকুমার প্রথম প্রশাসনিক ভবনটি বর্তমান পুলিশ সুপার, মাগুরার কার্যালয় সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত ছিল। ভবনটির দৈর্ঘ্য ১২৩ হাত ও প্রস্থ বারান্দাসহ ১৮ হাত এবং দক্ষিণমুখী অবস্থায় ছিল। এ অফিসের আশেপাশের জায়গায় গড়ে উঠে মহকুমা শহর। পরবর্তিতে প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে পাক সরকার কর্তৃক মহকুমা প্রশাসক মোঃ ফজলুল হাসান ইউসুফ সি.এস.পি মহোদয়ের আমলে ১৯৬৮ সালে কলেজ রোডের পূর্বপার্শ্বে বর্তমান স্থানে মহকুমা প্রশাসকের অফিসটি স্থানান্তরিত ও পুনঃস্থাপিত হয়। স্থানান্তরের প্রায় তিনদশকের অধিককাল সাবেক মহকুমা অফিসটি পুরাতন কোর্ট বিল্ডিং নামে পরিচয় নিয়ে অতীত স্মৃতির কথা স্মরণ করিয়ে দিত। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত এ অফিস ভবনে একাধিক অফিসের কাজ চলত। ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত এ একতলা ভবনটিতে সকল মহকুমা প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হতো এবং ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ মাগুরা মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করার পর মহকুমা প্রশাসকের এই অফিসটিই জেলা প্রশাসরেক অফিসে পরিণত হয়। ১৯৮৪ সালে মাগুরার প্রথম জেলা প্রশাসক ছিলেন জনাব অরবিন্দ কর। ১৯৮৪ এর পর থেকে অদ্যাবধি ২১ জন জেলা প্রশাসক সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে পুরাতন অফিস ভবনের সামনে জেলা প্রশাসকের অফিস ভবনের কাজ শুরু হয়। ২০০২ সালে নতুন ভবন নির্মিত হলে প্রশাসনের কার্যক্রম নতুন তিনতলা ভবনে স্থানান্তরিত হয় এবং অদ্যাবধি জেলা প্রশাসনের সকল কার্যক্রম এখান থেকেই পরিচালিত হচ্ছে।

নামকরণের ইতিহাস:

মাগুরার নামকরণ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিভিন্ন মতভেদ লক্ষ্য করা যায়।

১। অনেকের মতে ধর্মদাস নামক জনৈক মগ জলদস্যু মাগুরার পার্শ্ববর্তী মধুমতি নদী সংলগ্ন এলাকায়  বসতি স্থাপন করে।  মগদের অত্যাচারে এলাকার লোকজন  অতিষ্ট হয়ে পড়ে এবং তারা বিতাড়িত হয়।  সেই মগ ও মরগা থেকে ‘মাগুরা’ নামের উৎপত্তি।  

২। “খুলনা  শহরের আদিপর্ব” গ্রন্থের লেখক  ঐতিহাসিক আবুল কালাম সামসুদ্দিনের মতে, মরা গাঙ থেকে মাগুরা নামের উৎপত্তি। মরা গাঙ  আঞ্চলিক ভাষায় মরগা বলে  প্রচলিত। 

৩। তবে এখনও জনশ্রুতি প্রচলিত যে,  মাগুরার খাল বিলে এক কালে প্রচুর মাগুর মাছ পাওয়া যেত। আর সেই মাগুর মাছের  প্রসিদ্ধি থেকে ‘‘মাগুরা’’ নামকরণ হয়েছে।